বড়িশার চণ্ডীর জন্মদিন আজ, তন্ত্রমতে দেবীর অষ্টধাতুর কলস প্রতিষ্ঠা হবে চণ্ডীবাড়িতে

0

বড়িশার চণ্ডীর জন্মদিন আজ, তন্ত্রমতে দেবীর অষ্টধাতুর কলস প্রতিষ্ঠা হবে চণ্ডীবাড়িতে

কলকাতা: আজ পঞ্চমী, শারদোৎসবের আনন্দে মেতে উঠেছেন আট থেকে আশি সকলেই। পঞ্চমীর সকাল থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষজন। আর এই পঞ্চমীতেই আজ থেকে ২৩৫বছর আগে দক্ষিণ কলকাতার বড়িশায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন মা চণ্ডী, প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সাবর্ণ চৌধুরীদের পূর্বপুরুষ মহেশচন্দ্র রায় চৌধুরী।

     বড়িশার সাবর্ণ চৌধুরীরা সেকালে দক্ষিণবঙ্গের সমাজপতি হিসাবে পরিচিত ছিলেন। উত্তরের হালিশহর থেকে দক্ষিণে ডায়মন্ডহারবার অবধি এই বিস্তৃত অঞ্চলের জমিদারি পেয়েছিলেন এই বংশের সুসন্তান লক্ষ্মীকান্ত রায় চৌধুরী ১৬০৮ সালে। জমিদারি প্রাপ্তির পরই বড়িশায় শুরু করেন কলকাতার সপরিবার দুর্গাপুজো ১৬১০ সালে। পরবর্তীকালে হরচন্দ্র রায় চৌধুরীর পুত্র মহেশচন্দ্র মাতৃসাধক ছিলেন। তাঁর বসতবাড়ি সংলগ্ন পুকুর থেকে উদ্ধার করেছিলেন অষ্টধাতুর কলস। তিনদিন একতলার দালানে রেখে দেওয়ার পর দেবীর সেই কলস পূজা করবার স্বপ্নাদেশ পান এবং পুজোর বিধিও তিনি জানিয়ে দেন তাঁকে।

   প্রসঙ্গত, পরদিন সকালে জমিদার মহেশচন্দ্র ভাটাপাড়ার পণ্ডিতদের সমস্ত কথা বর্ণনা করায় পণ্ডিতরা পুঁথি দেখে বলেন- ইনি মা চণ্ডী। দেবীর আদেশেই আজও মহেশচন্দ্রের বসতবাড়িতে নিত্য পূজিতা হন দেবী চণ্ডিকা এবং প্রতিবছর অগ্রহায়ণে বিগ্রহ নির্মাণ করে বাৎসরিক পূজা সম্পন্ন হয়।

    উল্লেখ্য, প্রতিবারই দুর্গাপুজোর পঞ্চমীর দিন দুশো বছরের প্রাচীন কলসকে পুনরায় প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং তন্ত্রমতে পূজা হোম সম্পন্ন হয়। ভোগে থাকে খিচুড়ি, সাদাভাত, তরকারি, ভাজা, মাছ, চাটনি পাঁপড়। বলাবাহুল্য, দেবীর আদেশেই প্রতিষ্ঠা দিবস আজও পালন করে আসছেন চণ্ডী বাড়ির বর্তমান প্রজন্মের সদস্যরা। মহেশভবনের তিনতলার সেই ঘরে প্রবেশ করলে আজও সেই ঐতিহাসিক অনুভূতি হয়, যা ভাষায় প্রকাশ করা কার্যত অসম্ভব।

Article by: শুভদীপ রায় চৌধুরী

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)