Some Famous Sweet Shops in Kolkata - কলকাতার কিছু বিখ্যাত মিষ্টির দোকান

কথায় আছে "মিষ্টি  বাঙালিদের সৃষ্টি"! বাঙালি আর মিষ্টির এই রসালো সম্পর্কের মাঝে ঢুকে পড়তে পারে না কেউই।  মিষ্টি আর বাঙালি এক অবিচ্ছেদ্য সুসম্পর্ক সেই প্রাচীন কাল থেকে বিরাজমান। খাওয়ার শেষ পাতে অথবা কোন শুভ অনুষ্ঠানে মিষ্টি ছাড়া বাঙালির কিছুতেই চলে না। বলতে গেলে মিষ্টি বাঙালির জন্য সুখবরের বার্তা বয়ে আনে। নেমন্তন্ন বাড়ির শেষ পাতে হোক কিংবা বিজয়ার দিন, ভাইফোঁটা, জামাই ষষ্ঠী.. এমনই হরেক রকম আচার অনুষ্ঠানে বাঙালি বাড়িতে মিষ্টির আনাগোনা থাকে বারো মাস। কলকাতায় এমনই কিছু মিষ্টির দোকান আছে যাদের সঙ্গে বাঙালির সম্পর্ক বহু দিনের। হয়তো আমার এই লেখায় অনেক নামী-দামী মিষ্টির দোকানের নাম বাদ যেতে পারে। সেগুলোর নাম কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না প্লিজ।

Bhim Chandra Nag (ভীম চন্দ্র নাগ): ৫, নির্মল চন্দ্র স্ট্রিট, বউ বাজার মার্কেটের কাছেই। ফোন নং- ০৩৩-২২১২০৪৬৫।

১৮২৬ সালে পরাণ চন্দ্র নাগ প্রতিষ্টা করেন এই মিষ্টির দোকানটি। ভীম নাগের হাত ধরে এই মিষ্টি দোকানটি খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছয়। প্রসিদ্ধির কারণ ভীমচন্দ্র নাগের মনোহরা ও সন্দেশ। তবে ব্রিটিশ আমলে ভারতের গভর্নর জেনারেল চার্লস ক্যানিংয়ের স্ত্রী লেডি ক্যানিংয়ের নামে একটি যুগান্তকারী মিষ্টি তৈরি করে ফেলেন ভীম চন্দ্র নাগ, নাম ‘লেডি কেনি। কখন ও কোন প্রেক্ষিতে লেডি ক্যানিংয়ের নামে এই মিষ্টির নামকরণ হল তা নিয়ে ইতিহাসে অনেক গল্প আছে। ছানা ও ময়দা দিয়ে তৈরি এবং চিনির তরল রসে ভেজানো লালচে-বাদামী রঙের গোলাকার ‘লেডিকেনির আবির্ভাব ঘটে ভীম চন্দ্র নাগের হাত ধরে।


বৌবাজার মার্কেটের ঢিল ছোড়া দূরত্বে  ভীম চন্দ্র নাগের আইসক্রিম সন্দেশ, রোজ ক্রিম সন্দেশ , পেস্তা সন্দেশও ব্যাপক জনপ্রিয়। তা ছাড়া ভীম নাগের স্পেশাল ‘আবার খাবো সন্দেশও আমদই চেখে দেখতেই হবে।

Ganguram (গাঙ্গুরাম): 38B, Bepin Behari Ganguly St, Bowbazar, Kolkata 700012.

এছাড়া মানিকতলা,লালবাজার,পার্ক স্ট্রিট, দমদম, গোলপার্ক  ইত্যাদি কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় এই প্রতিষ্ঠানের শাখা রয়েছে।


গাঙ্গুরামের মিষ্টি, ছানার পাকে যেন জাদুকাঠির ছোঁয়ানো। প্রায় দেড়শো বছরের পুরনো এই মিষ্টির দোকান আজও জয়ধ্বজা উড়িয়ে চলেছে।গাঙ্গুরামের মিষ্টি, আজও কলকাতার নানা প্রান্তে মেলে। ইন্দ্রাণী, রসমালাই, ক্ষীরের চপ, প্রাণহরা, প্যারাডাইস, দিলখুশ, ক্ষীর চমচম, আবার খাব, লাইট ডিলাইটের পাশাপাশি আলফান্সো আর কেশর আমের মিশ্রণে তৈরি আম দই, আম সন্দেশ গাঙ্গুরামের বিখ্যাত মিষ্টির তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে। এই আম দই বা আম সন্দেশে কোনও রকমের এসেন্স ব্যবহার করা হয় না। নিখাঁদ আমের নির্যাস। সে আমও আসে মহারাষ্ট্র থেকে।মিষ্টি ছাড়াও রাধাবল্লভি, আলুরদম, শিঙাড়া, দই বড়া, পনির রোল, ভেজিটেবল চপ, চাউমিন, মটর প্যাটিসও পাওয়া যায় গাঙ্গুরামে। 

Sen Mahasay (সেন মহাশয়): ১/১সি শিবদাস ভাদুড়ি স্ট্রিট, শ্যামবাজার, কলকাতা। ফোন নং: ০৩৩-২৫৫৫৫০২২। শ্যামবাজার ছাড়াও লেক মার্কেট, গড়িয়াহাট, সল্টলেক সেক্টার-১ এবং ভবানীপুরেও এদের শাখা রয়েছে।


সীতাভোগ আর মিহিদানার যুগলবন্দির জন্য বিখ্যাত বর্ধমান। তবে কলকাতাতেও এই মিষ্টির সেরা ঠিকানা সেন মহাশয় I মনোহরা, দরবেশ এবং নানা স্বাদের সন্দেশ যেমন সুস্বাদু, তেমনই মালাই চপও কম মুখরোচক নয়। এই কারণেই কলকাতার সেরা মিষ্টির দোকানগুলির লিস্টে একেবারে উপরের দিকে সেন মহাশয়কে না রাখলেই নয়!

Banchharam (বাঞ্ছারাম): বি/৪, বাঘা যতীন মার্কেট কমপ্লেক্স, যাদবপুর, কলকাতা। কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে এদের বহু শাখা রয়েছে।

১৯৭৬ সালে মধ্য কলকাতায় একটা ছোট্ট দোকান থেকে শুরু। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয় এই মিষ্টির দোকানের মালিক বাঞ্ছারাম ঘোষকে। আজ  কলকাতার প্রথম সারির মিষ্টির দোকানগুলির মধ্যে অন্যতম হল এটি।


এই দোকানের মিষ্টি স্বাদের জন্য অল্প সময়েই বিপুল পরিমাণ জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। এদের রসগোল্লা এবং সন্দেশ যেমন জনপ্রিয়, তেমনি পুলি পিঠে এবং মিহিদানার জনপ্রিয়তাও কম নয়। বিশেষত, বাঞ্ছারামের ভ্যানিলা এবং স্ট্রবেরি সন্দেশ একবার চেখে না দেখলেই নয়।

মিষ্টি দই খেতেই হবে। সঙ্গে রসগোল্লা এবং রাধাবল্লভিও চেখে দেখতে পারেন।

K.C.Das (কে সি দাস): ১১ এ, এসপ্লেনেড ইস্ট, নিফ মার্কেটের সিগনালের কাছেই। ফোন নং: ০৩৩-২২৪৮৫৯২০।


মিষ্টির দুনিয়ায় বিপ্লব এসেছে এই প্রতিষ্ঠানের হাত ধরেই। বিশেষত, নানা স্বাদের রসগোল্লা তৈরিতে এদের জুড়িমেলা ভার। যে কারণে ১৮৬৬ সাল থেকে আজ পর্যন্ত কে সি দাসের সুনাম একটুও কমেনি। এখনে এলে প্রথমেই চোখে পড়ে নানা স্বাদের রসগোল্লা। আর ট্রাই করতে পারেন  ক্ষীর কদম বা সন্দেশ। এদের রসমলাইও কিন্তু বেশ জনপ্রিয়।এসপ্লানেট মেট্রোর পাশে এই মিষ্টির দোকানে শীতকালে নলেনগুড়ের সন্দেশ, রসগোল্লা আপনি যদি চেখে না দেখেন, তাহলে বলব কলকাতার মিষ্টির স্বাদ নেওয়া আপনার অপূর্ণ রয়ে গেল৷  পাশাপাশি এই দোকানের নলেরগুড়ের রোল, ল্যাংচা আপনি খেয়ে দেখতে পারেন৷

Putiram (পুঁটিরাম): 12B সূর্য সেন স্ট্রিট. কলেজ স্কোয়ার অঞ্চলে, ক্যালকাটা ইউনিভারসিটি'র কাছে ।


পুঁটিরাম বিখ্যাত মিষ্টির দোকান হলেও এর আসল সুখ্যাতি রাধাবল্লভীতে I বিউলির ডালের পুর ভরা অপূর্ব স্বাদের এই  রাধাবল্লভী, সাথে আলুর তরকারি/ মিষ্টি ছোলার ডাল। এছাড়া পুঁটিরামে এলে অবশ্যই ট্রাই করবেন অসাধারণ মিষ্টি সম্ভার,যার মধ্যে রয়েছে তালশাঁস, রাবড়ি, রসমালাই, রাজভোগ, সরভাজা, কালোজাম, মিহিদানা আর পুঁটিরাম স্পেশাল 'আইসক্রিম ও স্ট্রবেরী সন্দেশ'।এই দোকানের আর একটা মিষ্টি হলো মালপোয়া(ট্রাই করে দেখতে পারেন)।

Girish Ch. Dey & Nakur Ch. Nandy (গিরিশ চন্দ্র দে অ্যান্ড নকুড় চন্দ্র নন্দী): ৫৬, রামদুলাল সরকার স্ট্রিট, হেদুয়া, হাতিবাগান, কলকাতা। বেথুন কলেজের কাছেই এই মিষ্টির দোকান। ফোন নং: ৯৪৩২৪৯৪৪২৩।

আজ থেকে প্রায় ১৭৫ বছর আগে, ১৮৪৪ সালে পথ চলা শুরু। এত বছর পেরিয়ে গেছে, তবুও এদের মিষ্টির মান একই রয়ে গেছে। তাই তো গিরিশ চন্দ্র আর নকুড় চন্দের জনপ্রিয়তা এত বছরেও একটুও কমেনি। কলকাতার অন্যতম পুরানো মিষ্টির দোকান৷ হেদুয়া পার্কের কাছে অবস্থিত এই মিষ্টির দোকানটি সব সময়ই আলাদা করে নজর কাড়ে৷


এখানকার মিষ্টির জনপ্রিয়তার মূল কারণ হল মান ও স্বাদ ধরে রাখা। এখানকার নলেন গুড়ের সন্দেশ, সৌরভ সন্দেশ, চকোলেট সন্দেশের মধ্যে চকো তুফান, চকোলেট মালাই রোলের গুণমুগ্ধের সংখ্যা বিশাল। তা ছাড়া এখানকার ছানার সন্দেশ এবং জলভরা সন্দেশও অবশ্যই চেখে দেখার মতো।

Balaram Mullick & Radharaman Mullick (বলরাম মল্লিক ও রাধারমণ মল্লিক): ২, পদ্মপুকুর রোড, ভবানীপুর, কলকাতা। ফোন নং- ০৩৩-২৪৮৬-৯৪৯০। এছাডা়ও  কসবা, নিউ আলিপুর, প্রিন্স আনওয়ার শাহ রোড, পার্ক স্ট্রিট এবং বালিগঞ্জেও এই প্রতিষ্ঠানের শাখা রয়েছে।


১৮৮৫ সাল বলরাম মল্লিক এবং রাধারমণ মল্লিকের পথ চলা শুরু। কলকাতার প্রাচীনতম মিষ্টির দোকান গুলির মধ্যে অন্যতম হল বলরাম মল্লিক ও রাধারমণ মল্লিক।চিরাচিরত বাঙালি মিষ্টি তো বটেই, সেই সঙ্গে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নানা ফিউশন মিষ্টিও বিক্রি হয় এখানে, যার মধ্যে চকোলেট মিষ্টির জনপ্রিয়তা সবথেকে বেশি।  বিখ্যাত এই মিষ্টির দোকানের গন্ধরাজ সন্দেশ, রাবড়ি প্রসিদ্ধ৷এছাড়া এই দোকানের ছানার পায়েস, রসগোল্লাও আপনি একবার খেয়ে দেখতে পারেন৷এখানকার জলভরা সন্দেশ ও আম সন্দেশ না খেলেই নয়!

Nabakrishna Guin (নবকৃষ্ণ গুঁই): ৯ বি, নির্মল চন্দ্র স্ট্রিট, বউবাজার, কলকাতা। ফোন নং- ৯৮৩০১৪৬০৬৩।


কলকাতা শহরের ইতিহাসের সঙ্গে যে-যে মিষ্টির দোকানের নাম জড়িয়ে, তাদের মধ্যে অন্যতম হল এই দোকান। এরা নানা স্বাদের ট্র্যাডিশনাল বাঙালি মিষ্টি যেমন বিক্রি করে, তেমনই ফিউশন মিষ্টিরও হদিশ মিলবে এখানে। বিশেষত, এদের রোজ ক্রিম সন্দেশ এবং চন্দন ক্ষীরের মতো মিষ্টির স্বাদ তো না ভোলার মতো।এদের রোজ ক্রিম সন্দেশ এবং চন্দন ক্ষীর ট্রাই করতে পারেন।

Nobin Chandra Das (নবীন চন্দ্র দাস): 77, Jatindra Mohan Ave, Sovabazar, Shobhabazar, Kolkata 700005


ইতিহাসের পাতা ওল্টালে জানা যায় সেই ১৯ শতকে প্রথম রসগোল্লার অবিষ্কার হয়। বাগবাজারের এক ছোট্ট মিষ্টির দোকানের মালিক নবীন চন্দ্র দাস প্রথমবার তৈরি করেছিলেন বাংলার সবচেয়ে জনপ্রিয় এই মিষ্টিটি। পরবর্তী সময় অন্যান্য মিষ্টি বিক্রেতাদের হাত ধরে রসগোল্লা জগৎ বিখ্যাত হয়ে ওঠে।

Mouchak (মৌচাক):  ২, সূর্য সেন স্ট্রিট, কলেজ স্ট্রিট, কলকাতা। ফোন নং- ৯৮৩০২৪৯০৬৩। এছাড়াও কলকাতা শহরের নানা প্রান্তে এদের বেশ কয়েকটি শাখা রয়েছে।


কোনও সময় কলেজ স্ট্রিটে এলে একবার মৌচাকে ঢুঁ মারতে ভুলবেন না যেন! কারণ এদের মতো সুস্বাদু পান্তুয়া আর শঙ্খ সন্দেশ আর কোথাও পাওয়া যায় বলে তো মনে হয় না। এদের মিষ্টি দই এবং নলেন গুড়ের সন্দেশও বেজায় মুখরোচক। তাই না গত ১৭৫ বছরে একটুও কমেনি এদের জনপ্রিয়তা।

Kamdhenu's (কামধেনু): ৫৫, যাদবপুর সেন্ট্রাল রোড, বিধান পল্লী, কলকাতা। ফোন নং- ০৯২৩১৫৫১৮৯১। যাদবপুর ছাড়াও গড়িয়া, নেতাজিনগর এবং ব্রাহ্মসমাজ রোডেও এদের শাখা রয়েছে।


এখনকার কাঁচা গোল্লা বেশ জনপ্রিয়। তাই এই মিষ্টিটি চেখে দেখা মাস্ট! সঙ্গে স্বাদ নিতে পারেন আম সন্দেশ এবং কাজু-পেস্তা সন্দেশেরও I

Sri Hari Mmistanna Bhandar (শ্রী হরি মিষ্টান্ন ভাণ্ডার): দোকান নং ৩৫এ এবং ৩৫বি, এস পি মুখার্জি রোড, ভবানিপুর, কলকাতা।ভবানীপুর থানার ঠিক বিপরীতে।


কলকাতার ঐতিহ্যপূর্ণ মিষ্টির দোকানগুলির মধ্যে অন্যতম হল ভবানীপুরের ১০৯ বছরের শ্রীহরি মিষ্টান্ন ভাণ্ডার। বিখ্যাত মিষ্টি গুলির মধ্যে পড়ে বড় ল্যাংচা, কমলাভোগ, মালাইচপ, ভেজ সুইটস, হরিভোগ, রসনাভোগ এবং নতুন গুড়ের রসগোল্লা ও মনোহরা।

Nalin Chandra Das & Sons (নলীন চন্দ্র দাস অ্যান্ড সন্স): ৩১৩, রবীন্দ্র সরণি, নতুন বাজার, কলকাতা। ফোন নং- ০৩৩-২৫৫৫৮৪০৭। এছাড়াও এদের রাসবিহারি, হেদুয়া, নিউ টাউন এবং ইকো পার্কের বাংলা মিষ্টি হাবেও শাখা রয়েছে।


এই প্রতিষ্ঠান ১৯৩ বছরের ঐতিহ‌্য বহন করে চলেছে। নানা স্বাদের সন্দেশ খেতে যদি মন চায়, তা হলে একবার পৌঁছে যেতেই পারেন এই মিষ্টির দোকানে। বিশেষত, এদের বাটার স্কচ জলভরা সন্দেশের জনপ্রিয়তা তো আকাশ ছোঁয়া।

Chittaranjan Mistanna Bhandar (চিত্তরঞ্জন মিষ্টান্ন ভাণ্ডার): ৩৪ বি, শোভাবাজার স্ট্রিট, লাল মন্দিরের কাছে, কলকাতা ৭০০০০৫। ফোন নং- ০৩৩-২৫৫৫৬০২৬/ ৯২৩৯৩২৫৫৯৯।


১৯০৭ সালে হীরালাল ঘোষের হাত ধরে চিত্তরঞ্জন মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের পথ চলা শুরু হয়। ৩৪ বি, শোভাবাজার স্ট্রিটের চিত্তরঞ্জনের রসগোল্লার চাহিদা এখনও একইরকম ঊর্ধমুখী। তাছাড়াও এখানকার চকোলেট সন্দেশ, মালাই চমচম, গুলাব জামুন, মিষ্টি দইর নাম রয়েছে। কারও কারও মত, এই মুহূর্তে কলকাতার সেরা রসগোল্লা যেসব দোকানে পাওয়া যায় তার মধ্যে প্রথমে চিত্তরঞ্জন মিষ্টান্ন ভাণ্ডার।

Mithai (মিঠাই): ৪৮বি, সৈয়দ আমির আলি অ্যাভিনিউ, বেক বাগান, বালিগঞ্জ, কলকাতা।


১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠা হয় এই মিষ্টির দোকান।এখানে এলে প্রথমেই চেখে দেখবেন এদের আম সন্দেশ। তারপর একে একে চমচম এবং লেমন সন্দেশও খেতে হবে বই কী। ইচ্ছা হলে মিষ্টি দইও খেতে পারেন। আর যদি নোনতা কিছু চেখে দেখতে মন চায়, তাহলে কচুরি এবং গরম গরম সিঙ্গারা খেতে ভুলবেন না I

Dwariks Grandsons (দ্বারিক গ্র্যান্ড সন্স): ১২৫/২, বিধান সরণি, শ্যামবাজার, কলকাতা।

বাহারি জাঁকজমক নেই বটে। কিন্তু নানা স্বাদের মিষ্টি মিলবে এখানে। আর তার স্বাদও মন্দ নয়। তাই কলকাতার সেরা মিষ্টির দোকানগুলির লিস্টে দ্বারিককে না রাখলেই নয়। তাই কোনওদিন শ্যামবাজার চত্ত্বরে এলে একবার ঢুঁ মারতেই পারেন কলকাতার অন্যতম পুরানো এই মিষ্টির দোকান


আর এই সমস্ত এবং আরও অনেক কলকাতার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির দোকান একই ছাদের নিচে পেতে হলে আপনাকে আসতে হবে

MISHTI HUB (ECO PARK) KOLKATA:

Address: Gate 3, Eco Park, Biswa Bangla Sarani, Action Area I, Newtown, Kolkata, West Bengal 700156. Phn-09830096322.

প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে  রাত্রি ৮ পর্যন্ত খোলা থাকে I


হয়তো এই লেখায় অনেক নামী-দামী মিষ্টির দোকানের নাম বাদ যেতে পারে। সেগুলোর নাম কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না প্লিজ।

ছবি: সংগৃহীত

Post a Comment

Previous Post Next Post