নারীর 'রুদ্ররূপের' আরাধনায় মাতবেন সাবর্ণ পাড়া বড়িশা সর্বজনীনের উদ্যোক্তারা
কলকাতা:
সৃষ্টি-স্থিতি ও লয় সবেরই
সূচনাতে সেই
নারী। গোটা বিশ্ব সংসারকে
নিজেরাই কাঁধে বহন করে নিয়ে
চলেছেন বছরের পর বছর। এবার
সেই নারীই আজ বিপন্ন। দেশের
মায়েরা আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
ভ্রূণ হত্যা থেকে শুরু করে
নানা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন তাঁরা। বলাবাহুল্য, এই সমস্ত কিছু তাঁদের
জীবনের অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এতকিছুর বিরুদ্ধেই তাঁদের লড়াই। এই সম্ভ্রমের, অধিকারের
এবং সঠিক নিরাপত্তার। কিন্তু
কার কাছে গেলে পাওয়া
যাবে সেই নিরাপত্তা?
দক্ষিণ কলকাতার সাবর্ণ পাড়া বড়িশা সর্বজনীন
দুর্গোৎসব সমিতি মনে করাবে, সময়
এসেছে নারীদের 'রুদ্রাণী' রূপ ধারণ করে
গর্জে ওঠার।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন চুপ থাকার পর
এবার নিজের অধিকার বুঝে নেওয়ার সময়
এসেছে। চোখ থেকে জল
নয়, এবার ঝরাতে হবে
আগুন। সেই আগুনেই পুড়িয়ে
দিতে হবে পাশবিকতাকে। রুদ্ররূপী
নারী শক্তির হাতেই হবে
অশুভের বিনাশ। সাবর্ণ পাড়া বড়িশা সর্বজনীন
দুর্গোৎসব কমিটির ৭৬তম বর্ষে এবারের
থিম 'রুদ্রাণী', এমনই জানালেন পুজো
উদ্যোক্তারা।
উল্লেখ্য, এবারের মণ্ডপ শিল্পী অনিমেষ দাস। প্রতিমা গড়ছেন সৌমেন পাল। চলতি বছর প্যান্ডেলের থেকেও বেশি জোর দেওয়া হয়েছে দেবী প্রতিমার উপরে, এমনই খবর পুজো কমিটি সূত্রে। সম্পূর্ণ লোহার কাঠামোর উপরে মাটি আর ফাইবার দিয়ে তৈরি হচ্ছেন দশভুজা। তাতে থাকবে থ্রিডি ফিনিশ। ৩৬০ ডিগ্রি কোণেও দেখা যাবে এই প্রতিমা। লোহা, নেট, প্লাইউড, চায়ের কাপ দিয়ে তৈরি হচ্ছে প্যান্ডেল। এই পুজোকে কেন্দ্র করে প্রতিবারই এক মেলা বসে। যেখানে নানা রকমের দোকান থেকে শুরু করে থাকে রাইডিং। ৪ অক্টোবর উদ্বোধন হতে চলেছে বড়িশা সর্বজনীনের।
Article by: শুভদীপ রায় চৌধুরী