খুঁটিপুজো সম্পন্ন হল ঢাকুরিয়া সর্বজনীনের
কলকাতা:
বাঙালি শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। মাত্র
কয়েকদিনের অপেক্ষা, তারপরই আলোয় আলোয় সেজে
উঠবে তিলোত্তমার রাজপথ। তবে বেশ কয়েক
বছর ধরেই শহরে দুর্গাপুজোর
জাঁকজমক বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে বারোয়ারি পুজোগুলির
খুঁটিপুজো পালন করা একটা
প্রচলিত রীতি হয়ে গিয়েছে।
শহরের বেশিরভাগ বড় ক্লাবগুলি রথের
দিনেই খুঁটিপুজো সম্পন্ন করে তাদের থিম
ঘোষণা করে। তার পাশাপাশি,
বেশ কিছু ক্লাব বিশেষ
দিন দেখে তাদের খুঁটিপুজোর
আয়োজন করে। দক্ষিণ কলকাতার
ঢাকুরিয়া সর্বজনীন তার ব্যতিক্রম নয়।
এ বছর তাদের থিম
'নির্বাক'। এদিনের
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেয়র পারিষদ বৈশ্বানর
চট্টোপাধ্যায়, ৯২ নং ওয়ার্ডের
পৌরমাতা মধুছন্দা দেব সহ একাধিক
বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রসঙ্গত, গতকাল সারা দেশ জুড়ে
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস
পালিত হয়েছে। সকালে লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি কলকাতার রেড রোডে পতাকা
উত্তোলন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর স্বাধীনতা দিবসের দিনই খুঁটিপুজো সম্পন্ন
হল ঢাকুরিয়া সর্বজনীনে। বলাবাহুল্য, দুর্গাপুজোর খুঁটিপুজো হবে আর জাঁকজমক
হবে না তা হয়!
মূলত, ঢাকে কাঠি পড়ে
এই খুঁটিপুজোর মাধ্যমেই। এ বিষয়ে কথা
হল ঢাকুরিয়া সর্বজনীনের যুগ্ম সম্পাদক সৌম্যদীপ করের সঙ্গে। তিনি
জানান, চলতি বছরে শিল্পী
শৌভিক কালীর হাত ধরেই অভিনব
ভাবনা উপহার পেতে চলেছেন দর্শনার্থীরা।
এবছর তাদের থিম 'নির্বাক', অর্থাৎ
থিম হিসাবে বাছা হয়েছে শিল্পীর
নিজের জীবনেরই এক অধ্যায়কে।
সৌম্যদীপ বাবু আরও বলেন,
গতবছর শিল্পী শৌভিক এক ভয়ঙ্কর অসুস্থতার
কবলে পড়েছিলেন। তাঁর মুখে অস্ত্রোপচারের
ফলে বেশ কিছুদিন কথা
বলা একেবারে নিষেধ করা হয়। কিন্তু
ব্যক্তিগত জীবনে শিল্পী কথা বলতে ভীষণ
পছন্দ করায় ওই কয়েকটি
দিন কথা না বলার
যন্ত্রণা রীতিমত আঁকড়ে ধরে শিল্পীকে। সেই
দিনগুলির একাকীত্ব বারবার নিজের সঙ্গে পরিচয় করিয়েছে তাঁকে, এমনই দাবি শিল্পী
শৌভিকের। কারণ মানুষ একা
থাকলেই নিজেকে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা অনবরত করতে থাকে। তাই
শিল্পীর মতে, সেই দিনগুলিতে
যেভাবে নিজেকে মূল্যায়ন করতে পেরেছেন সেটাই
ফুটিয়ে তুলবেন ঢাকুরিয়া সার্বজনীন দুর্গোৎসবের মণ্ডপে। শিল্পীর আশা যে, বিগত
বছরের মতন এবারও তাঁর
ভাবনা দশর্কদের মনোরঞ্জন করতে সক্ষম হবে।