ঢাকুরিয়া তরুণ সংঘের প্রতিমা নির্মাণ করেন পদ্মশ্রী সনাতন রুদ্র পাল
কলকাতা: আজ ধন ত্রয়োদশী, আর দুদিন পরই দীপান্বিতা কালীপূজা। শক্তির আরাধনায় মেতে উঠবেন আট থেকে আশি সকলেই। দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়ায় আজও সাড়ম্বরে দীপান্বিতা কালীপূজা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকুরিয়া কলুপাড়া তরুণ সংঘের পুজো এবার ৬৮তম বর্ষে পদার্পণ করল। পুজোর সূচনা হয় ১৯৫৬ সালে, এলাকার সাধারণ অধিবাসীবৃন্দ মাধ্যমে। পরে ১৯৬১তে ক্লাব প্রতিষ্ঠার পর ক্লাবই এই পুজোর দায়িত্ব নেয়। দীপাবলির নিশিপুজোয় পশু বলির প্রথা নেই, তবে তার পরিবর্তে চালকুমড়ো বলি হয়।
প্রসঙ্গত, ঢাকুরিয়ার এই পুজো এলাকার সবচেয়ে পুরানো পুজো। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে এই পুজোর প্রতিমা নির্মাণ করছেন পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী সনাতন রুদ্র পাল। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে শুরু হওয়া এই পুজো পুরোনো দক্ষিণ কোলকাতার অন্যতম পুরোনো পুজো বলেই উল্লেখ করলেন কমিটির উদ্যোক্তারা। সাধারণ বাসিন্দাদের হাতে শুরু হওয়া পুজো এক সময়ে তরুণ সংঘের হতে আসে এবং কালক্রমে পুজোর আয়োজনে সামান্য আধুনিকতার ছোঁয়া এলেও সাবেকিয়ানা আজও এর প্রধান ছায়াসঙ্গী। গোটা অঞ্চলের মানুষের মিলন ক্ষেত্র এই পুজো।
বলাবাহুল্য, সম্পাদক সোমনাথ কর্মকার ও মিন্টু মন্ডলের তত্বাবধানে আজ এই সংগঠন শুধু পুজোয় আবদ্ধ নেই। কালী পুজোয় বস্ত্র বিতরণ ,রক্তদান সহ নানান কর্মকাণ্ডে তরুণ সংঘ সারাবছর লিপ্ত থাকে। পুজোর ভোগে থাকে খিচুড়ি, ৫ প্রকার ভাজা, লুচি, সুজি, পায়েস ইত্যাদি।
Article by: শুভদীপ রায় চৌধুরী